৫০০ বাংলাদেশি শিক্ষাথীকে বৃত্তি দেবে পাকিস্তান , জেনে নিই ?
পাকিস্তান সত্যিই ৫০০ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে বৃত্তি (স্কলারশিপ) দেবে। চলুন বিস্তারিত দেখে নিই :
পাকিস্তান–বাংলাদেশ নলেজ করিডর প্রকল্প
মূল তথ্য
-
‘Pakistan-Bangladesh Knowledge Corridor’ উদ্যোগে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ৫০০ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে উচ্চশিক্ষার জন্য পাকিস্তানে স্কলারশিপ দেওয়া হবে Link
-
এই স্কলারশিপগুলোর ২৫% নির্ধারিত করা হয়েছে মেডিসিন (চিকিৎসা) শিক্ষার জন্য Link
-
পাশাপাশি, একই সময়সীমায় ১০০ জন বাংলাদেশি সিভিল সার্ভেন্টের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচিও চালু করা হবে Link
-
এছাড়া, Pakistan Technical Assistance Program-এর স্কলারশিপ সংখ্যা ৫ থেকে বাড়িয়ে ২৫ করা হয়েছে Link
পটভূমি
-
এই ঘোষণা এসেছে পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক ডার এর ঢাকাস্থ ঐতিহাসিক সফরের সময়, যেখানে দু’দেশে ব্যাপক সহযোগিতার আলোচনা ও ৬টি গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষর করা হয় Link ।
-
এই কর্মসূচি মূলত শিক্ষা, দ diplোমোক প্রশিক্ষণ, সংস্কৃতিক বিনিময় ও বাণিজ্যসহ নানা ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে মজবুত করার লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে Link
সারসংক্ষেপ
| বিষয় | বিবরণ |
|---|---|
| মোট স্কলারশিপ | ৫০০ জন শিক্ষার্থী |
| সময়সীমা | আগামী ৫ বছর |
| মেডিসিন স্কলারশিপ | মোটের ২৫% |
| প্রশিক্ষণ আবাস | ১০০ জন সিভিল সার্ভেন্ট |
| PTAP স্কলারশিপ | ৫ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২৫ |
পাকিস্তান ৫০০ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেবে
মূল তথ্য
-
প্রকল্পের নাম: Pakistan–Bangladesh Knowledge Corridor
-
মোট বৃত্তি: ৫০০ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী
-
সময়সীমা: আগামী ৫ বছরে দেওয়া হবে
-
বিশেষ কোটা: মোট বৃত্তির ২৫% চিকিৎসা (Medicine) পড়াশোনার জন্য
-
সিভিল সার্ভেন্ট প্রশিক্ষণ: ১০০ জন বাংলাদেশি সরকারি কর্মকর্তাকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে
-
PTAP স্কলারশিপ: Pakistan Technical Assistance Program-এর আওতায় বৃত্তি সংখ্যা ৫ থেকে বাড়িয়ে ২৫ করা হয়েছে
উদ্দেশ্য
-
দুই দেশের শিক্ষাগত ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক জোরদার করা
-
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পাকিস্তানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ করে দেওয়া
-
সরকারি কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়ন
পটভূমি
-
পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক ডার এর ঢাকা সফরের সময় এই ঘোষণা দেওয়া হয়
-
একই সফরে দুই দেশের মধ্যে ৬টি সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষর হয়
পাকিস্তান ৫০০ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেবে
সম্প্রতি পাকিস্তান সরকার একটি বিশেষ ঘোষণা দিয়েছে, যা দুই দেশের মধ্যে শিক্ষাগত এবং সাংস্কৃতিক সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে। পাকিস্তান বলেছে যে, তারা ৫০০ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে উচ্চশিক্ষার জন্য বৃত্তি প্রদান করবে। এই উদ্যোগটি ‘Pakistan–Bangladesh Knowledge Corridor’ প্রকল্পের আওতায় নেওয়া হয়েছে। এটি মূলত আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে।
এই বৃত্তি প্রাপ্তির সুযোগ শুধু সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য নয়, বরং বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তাদের জন্যও রয়েছে। প্রকল্পের আওতায় ১০০ জন বাংলাদেশি সরকারি কর্মকর্তাকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে, যা তাদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। এছাড়া পাকিস্তানের Technical Assistance Program (PTAP)-এর আওতায় বৃত্তির সংখ্যা ৫ থেকে বাড়িয়ে ২৫ করা হয়েছে।
বৃত্তির মধ্যে মোটের ২৫ শতাংশ বৃত্তি দেওয়া হবে চিকিৎসা শিক্ষার জন্য। এই উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা পাকিস্তানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চমানের চিকিৎসা শিক্ষা লাভের সুযোগ পাবেন। শিক্ষার্থীরা শুধু উচ্চশিক্ষা অর্জন করবে না, বরং নতুন প্রযুক্তি, গবেষণা এবং পেশাগত দক্ষতা অর্জনেও সক্ষম হবে।
এই ঘোষণা আসে পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক ডার এর ঢাকাস্থ সফরের সময়। এই সফরে দুই দেশের মধ্যে ৬টি গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরিত হয়। এই সমঝোতা স্মারকগুলোর মধ্যে শিক্ষা, সংস্কৃতি, বাণিজ্য, প্রযুক্তি এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয় অন্তর্ভুক্ত।
পাকিস্তানের এই উদ্যোগ শুধুমাত্র শিক্ষাগত সহযোগিতার সীমায় সীমাবদ্ধ নয়। এটি দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক ও সামাজিক বন্ধুত্ব বৃদ্ধি করবে। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে বসবাস এবং পড়াশোনার মাধ্যমে নতুন সংস্কৃতি, জীবনধারা এবং শিক্ষাগত অভিজ্ঞতা অর্জন করবে। এটি তাদের বিশ্বমানের দক্ষতা এবং জ্ঞান অর্জনের সুযোগ তৈরি করবে।
অতএব, এই পদক্ষেপ বাংলাদেশের শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তাদের জন্য এক বড় প্রেরণা। এটি শুধু ব্যক্তিগত উন্নয়নের জন্য নয়, দেশের উন্নয়নের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। দুই দেশের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় এবং সুসংহত করতে শিক্ষা ক্ষেত্রে এই ধরনের উদ্যোগ অপরিহার্য।
শেষ কথায়, পাকিস্তানের এই ৫০০ শিক্ষার্থী বৃত্তি প্রকল্প শিক্ষা, সংস্কৃতি এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এটি প্রমাণ করে যে, শিক্ষার মাধ্যমে বন্ধুত্ব এবং পারস্পরিক উন্নয়ন সম্ভব। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের দক্ষতা, জ্ঞান এবং পেশাগত সুযোগকে আরও প্রসারিত করতে পারবে।

https://shorturl.fm/pNLcI
https://shorturl.fm/xClrK
https://shorturl.fm/mJOpZ
https://shorturl.fm/BM4HS
https://shorturl.fm/Gcr8Q
https://shorturl.fm/K4pe0
https://shorturl.fm/oCpOP